ফেসবুকে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে চক্রের আরও এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির খিলগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতের নাম মোসাঃ আনোয়ারা বেগম (৩৭)। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় খিলগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
খিলগাঁও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকার নবাবগঞ্জের মোঃ নাসির উদ্দীন ফেসবুকে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে ৬ অক্টোবর দুপুরে সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার নামের একজনের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় সীমার কথা মতো বাদী খিলগাঁও থানার টেম্পুস্ট্যান্ডের ১৩৬ দক্ষিণ গোড়ানের একটি বাসায় যান। কিছুক্ষণ পর সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার ও আনোয়ার ওরফে তন্ময়সহ আরো কয়েকজন ওই বাসায় আসে। মামলার বাদী নাসির উদ্দীন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে বিবস্ত্র করে মারধর শুরু করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার নিজেকে ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে ভিকটিমের মার কাছে মোবাইলের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। বাদীর মা তৎক্ষণাৎ তাদের দেওয়া বিকাশ নাম্বারে পাঁচ হাজার টাকা প্রেরণ করেন। এরপর তারা ভিকটিমের নিকট থাকা দুটি স্বর্ণের আংটি, একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও নগদ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে নেয়। পরবর্তী সময়ে রাত সাড়ে এগারটার দিকে আনোয়ার ওরফে তন্ময় ভিকটিমের চোখ বেঁধে মোটরসাইকেলে করে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের উপর ফেলে যায়।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় গত ৯ অক্টোবর নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসির, আনোয়ার ওরফে তন্ময় ওরফে আকতারুজ্জামান, রোকসানা রহমান ওরফে রোকসানা, সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার, জেসমিন ওরফে জেসমিন বেগম ও লিজা এবং গত ১৪ অক্টোবর ২০২৪ শাহানাজ আক্তার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সেজে বা প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার মতো বিভিন্ন উপায়ে মানুষকে প্রলুদ্ধ করে। তাদের এসব লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে কেউ ফাঁদে পা দিলে তাকে জিম্মি করে অর্থ ও মূল্যবান দ্রবাদি হাতিয়ে নেয়। গ্রেফতারকৃত নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসিরের নামে হত্যা চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।