আজ ০৬ ডিসেম্বর-২৩ বুধবার দুপুর ১২:৩০ ঘটিকায়,ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান,ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার।
গত ৩০ শে নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার তথা রিটারিং অফিসার এর কার্যালয় লক্ষ্য করে নির্বাচন প্রক্রিয়া বানচাল ও জনমনে ভয়-ভীতি সঞ্চার করার উদ্দেশ্যে দুপুরে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। উক্ত ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের রমনা থানার একটি টিম বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা সৃষ্টিকারীর মূল হোতা ও তার সহযোগী সহ চারজনকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের নাম:-১.আশিকুর রহমান পান্না ২.শফিকুল সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল ৩.সুমন হোসেন ওরফে রনি ৪.বিল্লাল হোসেন।
অতিরিক্ত কমিশনার আরো বলেন,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার সঙ্গীও শফিকুল এর নেতৃত্বে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এছাড়াও রাজধানীর রমনা ও মতিঝিল এলাকায় আরো চারটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণনের কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে আশিকুর রহমান পান্নার তথ্য মতে। রমনা থানা পুলিশ বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে পল্টন থানাধীন চামেলিবাগ থেকে শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে রমনা থানা পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আশিকুর রহমান পান্না ও শফিকুল ইসলামের নয়টি নাশকতার ঘটনা সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন,যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় আরো একাধিক মামলা রয়েছে। তারা তাদের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আমরা আরও তথ্য যাচাই-বাছাই করে এর সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা আমরা পর্যালোচনা করছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মতিঝিল জনের ডিসি ও রমনা জনের ডিসি (দুজনে সদ্য অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এছাড়াও পুলিশের উদ্ধতম কর্মকর্তা সহ প্রিন্টিং ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।