আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারাদেশের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে কোন ম্যাজিক নেই। ছিনতাই খুনের মতো অপরাধ কমাতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ছাত্রদের সহযোগিতা চাই বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
ঢাকাসহ সারা দেশে চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। এসব অপরাধ কমাতে পুলিশ কি ভূমিকা নিচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আপনারা দেখছেন আমরা কি কি ব্যবস্থা নিচ্ছি এসব অপরাধ কমাতে। সারা দেশের পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ওইভাবে ম্যাজিক নেই। আপনারা জানেন কি অবস্থা এবং কোথা থেকে উঠে এসে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীকে জাগিয়ে তোলা, আস্থা ও মনোবল ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই মানুষের আরও কাছে যাই। মানুষ আমাদের আরেকটু সহযোগিতা করুক, গ্রহণ করুক। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদেরও সাহায্য চাচ্ছি। তারা যেন আমাদেরকে কমিউনিটির কাছে নিয়ে যেতে আরেকটু প্রচেষ্টা চালান। আমি মনে করি এটা ছাড়া পুলিশ এককভাবে ক্রাইম (অপরাধ) উই ক্যান নট ফাইট ইট, তবে আমরা চেষ্টা করছি।
বিভিন্ন জেলার ছাত্র সমন্বয়কদের হত্যার হুমকির বিষয়ে প্রশ্নে আইজিপি বলেন, প্রতিটি ঘটনা অ্যানালাইস করেছি এবং সুরাহা করেছি। কালিয়াকৈরের ঘটনা ছিনতাইয়ের। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা মোবাইল ছিনতাইয়ের। ছাত্র সমন্বয়কদের নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গিয়েছি। তারা দেখেছেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারাও সন্তুষ্ট। এটা টার্গেট কিলিং নয়।
এছাড়া দুইটি হুমকি আছে। একটা ময়মনসিংহের। সেই স্কুল ছাত্রকে অ্যারেস্ট করেছিলাম। সে দশম শ্রেণির ছাত্র। আমরা তার বাবা-মায়ের জিম্মায় ফেরত দিয়েছি বলেও জানান তিনি।
প্রতিটি ঘটনা একইসূত্রে গাঁথা তা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ থেকে জাহিদ হাসান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। প্রতিটি ঘটনার সুরাহার জন্য চেষ্টা করছি।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বাহারুল আলম বলেন, সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত কমিটি বিস্তারিত জানাবে। এ ছাড়া সমন্বয়কদের হুমকির প্রতিটি ঘটনা গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। এখনো সিরিয়াস কিছু পাওয়া যায়নি।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, স্বাধীনতার পর এমন পুলিশ বাহিনী দেখতে চায়নি জনগণ। জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
তিনি বলেন, কী কারণে পুলিশের ওপর মানুষের এত ক্ষোভ সেটি বিশ্লেষণ করা উচিত। ৫ আগস্টের ৭২ ঘণ্টা আগেও যদি পুলিশ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারত তাহলে এত প্রাণহানি হতো না।