আজ রবিবার (৫ মে-২৪) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী, সরকারি-আধা সরকারী সংস্থা, বেসরকারি সংস্থার স্টিকার ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে যাতে কেউ অপরাধ করতে না পারে এজন্য অপরাধ প্রতিরোধে অননুমোদিত স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, ঢাকার রাস্তায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুলিশ, সাংবাদিকসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নামে অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি অনেকের আত্মীয়-স্বজনরাই এমন স্টিকার ব্যবহার করছেন। এ সকল স্টিকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নয়। জননিরাপত্তার স্বার্থে এক ধরণের হুমকি বলে মনে হচ্ছিল। এসব স্টিকার ব্যবহার করে কোন অপরাধ সংগঠন করে পার পেয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হচ্ছিল। এসব কিছু মাথায় রেখেই ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগ একযোগে অভিযান শুরু করেছে।
তিনি বলেন, অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার করার কারণে মাত্র কয়েক দিনে এ পর্যন্ত ৩৬৩ টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ফিটনেস বিহীন ৪৬১ টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও অবৈধ ২৩৫০টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীর নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতা বাড়ানো, ট্রাফিক প্রসিকিউশন ব্যবস্থাপনা, সময়োপযোগী ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনয়ন এবং ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগকল্পে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি নগরবাসীকে অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার থেকে বিরত থাকার বিনীতভাবে অনুরোধ করেন তিনি।
যত্রতত্র পার্কিং ও স্টপেজে গাড়ি না থামিয়ে যাত্রী উঠানামার বিষয়ে ডিএমপির অভিযান বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা নেই। তারপরও যত্রতত্র পার্কিং না করতে এবং নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া যাত্রী উঠানামা না করার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কেউ অনিয়ম করলে জরিমানা ও মামলা দেয়া হচ্ছে।
এ সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুলশানে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা হচ্ছে, যা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় পরিচালনা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এটি ট্রাফিক বিভাগের সাথে ইন্টিগ্রেটেড হবে। গুলশানের মতো এভাবে ঢাকা শহরের অন্যান্য জায়গায় এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কীভাবে কাজ করা যায় তা পরিকল্পনায় রয়েছে।