আজ শনিবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত দুইদিন আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফ্ফার, যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন বাবলু, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী ও যুবদল নেতা কাজী মনসুর আলমসহ যুবদলের আটটি টিমের লিডাররা ভার্চুয়াল কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করে। কনফারেন্সে বলা হয় ৫, ৬ ও ৭ জানুয়ারি তারিখে দিনে এবং রাতে সুবিধাজনক সময় যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, নির্বাচনে অংশগ্রহণবিরোধী লিফলেট বিতরণ, প্রার্থীদের অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন ও ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করাসহ নানা ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজগুলো ওয়ার্ড এবং থানা যুবদলের নেতাকর্মীদেরকে দিয়ে সংঘটিত করে তার ছবি এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করে উপরে প্রেরণ করতে হবে। সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে যাতে করে জনগণ ভোট কেন্দ্রে আসতে নিরুৎসাহিত হয়।
রাজধানীর গোপিবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয়ার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও জনবল দাতা মনসুর আলম এবং আশ্রয় ও অর্থদাতা নবীউল্লাহসহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি লালবাগ এবং ওয়ারী বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী, যুবদল নেতা কাজী মনসুর আলম, যুবদলকর্মী মো: ইকবাল হোসেন স্বপন, মো: রাসেল, দেলোয়ার হাকিম বিপ্লব, মো: সালাউদ্দিন, মো: কবির এবং মো: হাসান আহমেদ।
আজ শনিবার ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
কনফারেন্সে আরো বলা হয়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ট্রেন বিশেষ করে নরসিংদী পার হয়ে সুবিধাজনক স্থানে ও কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ রুটে আপ অ্যান্ড ডাউনে সুবিধাজনক স্থানে যাত্রীবাহী ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা। কনফারেন্সে তারা আগুন লাগানোর প্রস্তাব দিলে ভিডিও কনফারেন্সে থাকা একজন রাজি হয়। এরপর রবিউল ইসলাম নয়নের বিশ্বস্ত বৃহত্তর লালবাগের তিনজন দাগী বোমা সন্ত্রাসী আরো কয়েকজন বোমা ও অগ্নি সন্ত্রাসীকে দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নি সংযোগ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীকে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের পরামর্শদাতা ও অর্থদাতা হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ২৬টি মামলা রয়েছে। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এ ঘটনায় অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।