আজ ১৬ নভেম্বর-২৩ বৃহস্পতিবার সকাল ১১:৩০ ঘটিকা ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং এ নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গ্রেফতার-১২, ড.খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার,অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস)।
রাজধানীর ভাষানটেক, শাহআলী ও শাহবাগ থানা এলাকায় নাশকতার চেষ্টা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান,
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গতকাল বুধবার রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাষানটেক থানা পুলিশের একটি দল জানতে পারে যে, পূর্ব ভাষানটেক এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবনের নিচ তলায় কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী ককটেল, পেট্রোল বোমা, ইট-পাটকেল ও লাঠি নিয়ে নাশকতামূলক কর্মকান্ড করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অবস্থান করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ভাষানটেক থানা পুলিশের টিম সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালনোর সময় আটজন দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মাহফুজ হোসেন মুনা, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ ফরহাদ, মোঃ মাহি, মোঃ আউলাদ হোসেন, মোঃ নাছিম, মোঃ আমজান আলী হোসেন ও মোঃ তানভীর হোসেন। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে নাশকতায় ব্যবহৃত ৫টি খালি জর্দার কৌটা, ১০০টি লোহার বেয়ারিংয়ের বল, ২৪টি কনডেন্সড মিল্কের খালি কৌটা, ২টি কালো স্কসটেপ, ১টি প্লাস, ১টি কেচি, ৬৫ গ্রাম গুনার তার, ১০টি পুরাতন কাপড়ের টুকরা, ২ লিটার পেট্রোল, ১২টি লাঠি ও ২৫০টি সিমেন্টের তৈরি ব্লক উদ্ধার করা হয়।
এদিকে দিনের অপর এক ঘটনায় গতকাল রাতে শাহআলী থানা এলাকার মিরপুর বেড়ীবাধে পার্কিং করা মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মূলহোতা রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন জসিমকে শেওড়াপাড়া থেকে গ্রেফতার করে শাহআলী থানা পুলিশ। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ২.৫০ লিটার কেরোসিন, ৫০০ গ্রাম পেট্রোল, ৫০০ গ্রাম ফিনাইল জাতীয় তরল পদার্থ ও রূপনগর থানা বিএনপির একটি ব্যানার উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এছাড়াও, গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় চার থেকে পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর সময় তিনজন দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। তারা হলো নূর মোহাম্মদ শিকদার, মোহাম্মদ বখতিয়ার চৌধুরী ওরফে শাহীন ও মোঃ রুবেল।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সম্মানিত নগরবাসীর আস্থার জায়গা হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মহানগরবাসীর সুদৃঢ় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি বদ্ধপরিকর। যারা নাশকতা করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।