আজ ১৫ নভেম্বর-২৩ বুধবার, সকাল ১১:৩০টা ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তরা বিভাগ)মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, পিপিএম এ তথ্য জানান,দক্ষিণখান থানার চাঞ্চল্যকর খাইরুল কসাই হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতারসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের দক্ষিণখান থানা কর্তৃক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গতকাল দক্ষিণখান থানাধীন ফায়দাবাদ আদমআলী মার্কেট এলাকা হইতে চাঞ্চল্যকর খাইরুল কসাই হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতারসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম- মোঃ শহিদুল ইসলাম (২৩)।
গত ১২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ দিবাগত রাত ১২.৩০ ঘটিকা হতে রাত ০১.৩০ ঘটিকার মধ্যে দক্ষিণখান থানাধীন ফায়দাবাদ গোয়ালটেক, আদমআলী মার্কেট,“আফসাল গোস্ত বিতান” এর ভিতর একই দোকানের কসাই ভিকটিম খাইরুল (২৮)-কে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী ধারালো মাংস কাটার চাপাতি দিয়ে হত্যা করে কম্বল পেঁচিয়ে রেখে চলে যায়। উক্ত ঘটনায় দক্ষিণখান থানায় ভিকটিম এর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।
মামলাটি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোরশেদ আলম পিপিএম উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তরা বিভাগের দিকনির্দেশনায় তরিকুল ইসলাম এডিসি(সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদউন্নতি প্রাপ্ত) দক্ষিন খান জনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাকিবা ইয়াসিন দক্ষিন খান জন এর পরামর্শে দক্ষিন খান থানার অফিসার ইনচার্জ সিদ্দিকুর রহমান এর নেতৃত্বে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার, সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা, স্থানীয় সোর্স নিয়োগ করিয়া ডিএমপির উত্তরা বিভাগের দক্ষিণখান থানা পুলিশের একাধিক টিম ব্যাপক অভিযান করিয়া আসামীকে গতকাল দক্ষিণখান থানাধীন ফায়দাবাদ আদমআলী মার্কেট এলাকা হইতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তিনি জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে দক্ষিণখান ফায়দাবাদ আদম আলী মার্কেটে জজ মিয়ার মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করে। সে প্রতিদিন মাংস বিক্রি শেষে তার নিজ বাড়ী বেরাইদে চলে যায়। গত ১২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ মাংস বিক্রি শেষে বাকীতে বিক্রি করা মাংসের টাকা সংগ্রহের জন্য রাত বের হওয়ায় ভিকটিম খায়রুল তাকে তার দোকান “আফসাল গোস্ত বিতান” এ ঘুমাতে বলে। রাত অনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকায় সে দোকানের ভিতর ঘুমিয়ে পড়ে। দিবাগত রাত অনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকায় ভিকটিম খায়রুল তাকে বলাৎকার করার চেষ্টা করলে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এর জন্য সে রাগান্বিত হয় এবং ভিকটিমের দোকানের বাক্সে থাকা মাংস কাটার চাপাতি দিয়ে দিয়ে স্বজোরে ভিকটিমের মুখের উপরে কোপ মারিলে ভিকটিম খাইরুল নিচে পড়ে যায়। সে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পুনরায় ভিকটিমের ডান পাশের ঘাড়ে উপর্যুপরি তিনটি কোপ মারে। ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি দোকানে থাকা কম্বল দিয়ে মুছে বাক্সে রেখে। এই কম্বল দিয়ে ভিকটিমকে ঢেকে রেখে সে ঐ স্থান হতে পালিয়ে যায়।
ধৃত আসামী বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।