বিশেষ-প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিদাতা রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে কিশোরগঞ্জের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল আমিন তাকে গ্রেপ্তার (শোন এরেস্ট) দেখিয়ে আদেশ দেন। পরে তাকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় দলীয় সমাবেশে আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর এক দফা দাবির কথা উল্লেখ করে ভাষণ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বাদী হয়ে গত ২৪ মে মামলা করেন। বাদীর পক্ষে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউনুস খানের আদালতে আবু সাঈদ চাঁদ ও অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ৫০০/৫০৬/১২০(খ) ধারায় মামলা করেছিলেন সরকারী কৌসুলি আতিকুল হক বুলবুল ও অ্যাডভোকেট শ্যামল সরকার। বিচারক মোহাম্মদ ইউনুস খান মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর করে তদন্তের জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশ মোতাবেক মামলাটি গত ১৭ আগস্ট এফআইআর (মামলা নং ৩৭) করা হয়েছিল বলে জানান ওসি মোহাম্মদ দাউদ।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এপিপি আতিকুল হক বুলবুল ও আসামী পক্ষের আইনজীবী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আইনজীবী জালাল উদ্দিন জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার তার জামিনের জন্য আবেদন করা হবে।
মামলায় সাক্ষী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমএ আফজাল, জেলা বারের সভাপতি শহিদুল আলম শহিদ, জেলা বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি সৈয়দ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক চুন্নু ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন।
এর আগে রোববার বিকেলে আবু সাঈদ চাঁদকে রাজশাহী কারাগার থেকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে আনা হয়। সকালে তাকে আদালতে আনা হয়। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন।
আবু সাঈদ চাঁদের ভাগনে বাবুল আক্তার জানান, আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় সারাদেশে ২৬টি মামলা হয়েছে।